যোগদানের ১৯ দিন পেরিয়ে গেলেও মেহেরপুরের গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন নামজারির কাজ শুরু না করায় চরম বিপাকে পড়েছে ভূমি মালিকরা, দিনের পর দিন ভুমি অফিসে ধরনা দিয়েও নামজারি না করতে পেরে ক্ষোভ প্রকাশ করে দ্রত ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি করেছে এলাকাবাসি।
জানা গেছে, চলতি বছরের জুলাই মাসের ১০ তারিখে সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন গাংনীতে যোগদান করেন, যোগদানের পর থেকে জুলাই মাসের শেষ দিন পর্যন্ত কোন নামজারি করা হয়নি বলে অভিযোগ উঠেছে।
নামজারি না হওয়ায় সৃষ্টি হচ্ছে নিত্য নতুন জটিলতা। এতে বাড়ছে ভূমি বিরোধ ও নতুন নতুন দেওয়ানি মামলার, এদিকে নামজারির আবেদন পড়ে থাকায় ভূমি সেবা থেকে বঞ্চিত হচ্ছে উপজেলাবাসী। নামজারি, ভূমি উন্নয়নকর পরিশোধসহ নানা ধরনের সেবা পেতে ভোগান্তি পোহাচ্ছে হচ্ছে।
আরো পড়ুন=>> গাংনী উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে কাঙ্খিত সেবা পাচ্ছে না রোগীরা
নামজারি সহ ভূমি সংক্রান্ত বিষয়ে কথা বলার জন্য ঘন্টার পর ঘন্টা দাঁড়িয়ে থেকেও সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেনের সাক্ষাৎ না পাওয়ার অভিযোগ করেছে বেশ কয়েকজন ভূমি মালিক।
ভুক্তভোগীদের অভিযোগ, নামজারি না হওয়ার কারনে ভূমি রেজিস্ট্রিও করতে পারছে না অনেকে,নামজারি, মিস কেস সহ বিভিন্ন সেবা পেতে দিনের পর দিন ঘুরতে হচ্ছে ভূমি অফিসের বারান্দা।
নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সাবরেজিষ্টি অফিসের একজন দলিল লেখক বলেন, নামজারি না হওয়ার কারনে আগের তুলনায় জমি রেজিষ্টি কম হচ্ছে। একটি সূত্রে জানা গেছে, নামজারি বন্ধ থাকায় গত কয়েকদিনেই ১২শ ৫০ টি ফাইলের স্তুপ জমা হয়েছে।
কাজিপুর গ্রামের আব্দুল করিম বলেন, জমি বিক্রি করে ছেলেকে বিদেশে পাঠাবেন কিন্তু নাম জারি না হওয়ার কারনে জমি রেজিষ্টি করতে না পেরে বিপাকে পড়েছেন তিনি।
তেঁতুলবাড়িয়া গ্রামের রফিবুল ইসলাম বলেন, বাবা মারা গেছে, বাবার জমি নিয়ে পারিবারিক বিরোধ চলছে। নামজারি করতে না পারায় বন্টননামা রেজি: করা যাচ্ছেনা, তাই নাম জারি করা হলে দ্রত বিরোধ নিস্পত্তি হবে।
ধানখোলা গ্রামের খবির উদ্দীন বলেন, তিনি সৌদ্দি আরবে থাকেন সম্প্রতি বাড়িতে এসেছেন।
পারিবারিক কারনে একটি জমি বিক্রি করতে হবে, নামজারি না থাকার কারনে রেজিষ্টি করতে পারছেন না, তিনি আগামী ১২ আগষ্ট রাতে সৌদ্দি আরব চলে যাবেন।
নামজারি না করার বিষয়ে জানতে চাইলে গাংনী উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেন কথা বলতে রাজি হননি।
জেলা প্রশাসক শামীন হোসেন বলেন, নামজারি বন্ধের বিষয়টি তিনি অবগত হওয়ার পর দ্রত নামজারি করার জন্য সহকারী কমিশনার (ভূমি) সাদ্দাম হোসেনকে নির্দেশনা দেয়া হয়েছে।