সব বাবাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা

ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ‘গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড অনুষ্ঠানে কৃতী ব্যবসায়ী দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

পৃথিবীর সব বাবাদের প্রতি আমার শ্রদ্ধা ও ভালোবাসা জানাচ্ছি। কারণ বাবার শাসন ও মায়ের দোয়া থাকলে সব কাজেই সফল হওয়া যায়। তার উদাহরণ আমি নিজেই। আমার বাবার শাসন ও আমার মায়ের দোয়ায় আজ আমি আপনাদের দিলীপ কুমার হতে পেরেছি। গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের এ যাত্রা শুরু করার পর আমার বাবা আমাকে বলেছিলেন, আমি যেন প্রতি বছরই এ আয়োজন করি এবং বাবাদের সম্মানিত করি। আমি আমার বাবার কথা রেখে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ‘গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড’ প্রোগ্রামটা করে যাচ্ছি এবং ভবিষ্যতেও অব্যাহত থাকবে। গতকাল শুক্রবার সন্ধ্যায় রাজধানীর হোটেল ওয়েস্টিনের গ্র্যান্ড বল রুমে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড ‘গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড’ অনুষ্ঠানে সভাপতির বক্তব্যে এসব কথা বলেন গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের সভাপতি, ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক (এমডি) এবং বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।


বক্তব্যের শুরুতেই দিলীপ কুমার আগরওয়ালা জাতির পিতা সর্বকালের সর্বশেষ্ঠ বাঙালি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানকে গভীর শ্রদ্ধার সাথে স্মরণ করে বলেন, গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে তৃতীয় বারের মতো অনুষ্ঠিত হচ্ছে ডায়মন্ড ওয়ার্ল্ড গর্বিত বাবা অ্যাওয়ার্ড। দেশের গর্বিত বাবাদের সন্মান জানাতেই প্রতি বছর এটা আয়োজন করে থাকি।

দিলীপ কুমার আরও বলেন, আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত আমার অতি প্রিয় শ্রদ্ধাভাজন ব্যক্তি মাননীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী জনাব আসাদুজ্জামান খান এমপি, বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত আমার প্রিয় মানুষ যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি, সাবেক যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী জনাব জাহিদ আহসান রাসেল এমপি এবং প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় সম্পর্কিত স্থায়ী কমিটির সদস্য জনাব ইলিয়াস উদ্দিন মোল্লাহ এমপিকে ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি। এছাড়া উপস্থিত কানাডিয়ান ইউনিভার্সিটির চেয়ারম্যান ও গর্বিত বাবা ফাউন্ডেশনের চীফ পেট্রোন ডক্টর চৌধুরী নাফিজ সরাফাত, জাতীয় পুরস্কারপ্রাপ্ত সাবেক ফুটবলার আব্দুল গাফফার, ঢাকা ক্লাবের প্রেসিডেন্ট আশরাফুজ্জামান খান পুটন মহোদয়সহ উপস্থিত সুধীমণ্ডলী ও আমার প্রানপ্রিয় বাবারা এবং বিভিন্ন প্রিন্ট ও ইলেকট্রনিক্স মিডিয়ার বন্ধুদেরকেও সালাম ও বাবা দিবসের শুভেচ্ছা জানাচ্ছি।
অনুষ্ঠানে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা তার বক্তব্যে আরও বলেন, গত দুই বছর বাবা দিবসে আমার কাছে ছিলো আমার বাবা। এ বছর বাবা কাছে নেই। খুব মিস করছি আমার বাবাকে। আপনারা জানেন- ছোট্ট একটি শব্দ বাবা। বাবা মানে আদর, বাবা মানে আবদার, বাবা মানে শাসন, বাবা মানেই নীরব ভালোবাসা। আমরা বাবাকে কখনো কাঁদতে দেখি না। বাবা মানুষটি নিজের প্রতি বড্ড কৃপণ হন, নিজের প্রতি খুবই হিসেবি হন। পরিবার আর সন্তানদের জন্য তার ভাণ্ডারের সব দিতেও তিনি কার্পণ্য করেন না। তাই বাবা হলেন নীরবে বয়ে চলা নদী। কখনো জোয়ার, কখনো ভাটার মাঝে দিন কাটে তার। নীরবে বহমান তার জীবনের প্রতিটি ধাপ। এছাড়া পৃথিবীতে যদি সবচেয়ে বেশি ধৈর্যশীল কেউ থাকেন, তিনি হলেন আমাদের বাবারা। বাবা হলেন একজন নির্ভীক নাবিকের মতো। যে নাবিক শত ঝড়, তুফানের মাঝেও জাহাজ বাঁচাতে নিজের চেষ্টার ত্রুটি রাখেন না। বাবারাও তেমন সব বাধা-বিপত্তি থেকে পরিবারকে রক্ষা করতে জীবনের সর্বস্ব দিয়ে চেষ্টা করে যান।


দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমাদের জীবনের অস্তিত্বের উৎস, জীবনের প্রকৃত নায়ক বাবার স্থানটা হোক নিজের ঘরে, মনের মসজিদে, মনের মন্দিরে, পরম ভালোবাসায় প্রত্যেকের হৃদয়ে। আর বার্ধক্য সময়গুলোতে সব সময় বাবারা সুযোগ-সুবিধা ও কল্যাণের দিকটা প্রাধান্য পাক। ভালো থাকুক, সুস্থ থাকুক ও নিরাপদ থাকুক পৃথিবীর সব বাবারা। এছাড়া মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার এই স্মার্ট বাংলাদেশে সব বাবারাই থাকবেন নিরাপদ ও সুন্দর জীবনযাপন করছেন এবং করবেন এমন প্রত্যাশা আমার।


অনুষ্ঠানে উপস্থিত বাবাদের সামনে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, আমি আজ কথা দিচ্ছি- আপনাদের পৃষ্ঠপোষকতা ও উপদেশ নিয়ে এ সংগঠনকে আমরা আরো যুগপোযোগী এবং কার্যকরী করবো। সবাইকে ধন্যবাদ। ভালো থাকবেন সবাই। জয় বাংলা, জয় বঙ্গবন্ধু।
অনুষ্ঠানে উপস্থিত প্রধান অতিথিসহ অতিথিরা এদেশের ২৫ জন কৃতী মানুষের ২৫ জন গর্বিত বাবাকে সম্মাননা স্মারক, ক্রেস্ট ও উত্তরীয় পরিয়ে দেন।