কোটা সংস্কারের দাবিতে রাষ্ট্রপতি বারবার স্মারকলিপি দিল চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা

সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটা পদ্ধতি সংস্কারের একদফা দাবিতে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি দিয়েছে চুয়াডাঙ্গার বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয় ও কলেজের সাধারণ শিক্ষার্থীরা।

এ সময় কোটাবৈষম্য নিরসন করে সংসদে আইন পাসের লক্ষ্যে জরুরি অধিবেশন আহ্বান ও ২৪ ঘণ্টার মধ্যে শিক্ষার্থীদের ওপর মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান চুয়াডাঙ্গার শিক্ষার্থীরা।

রোববার (১৪ জুলাই) সকাল সাড়ে ১১ টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন, চুয়াডাঙ্গা জেলার ৭ সদস্যের একটি টিম জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি বরাবর এই স্মারকলিপি দেন। জেলা প্রশাসক গুরুত্বপূর্ণ মিটিং থাকায় জেলা প্রশাসকের অনুরোধে আফিস কতৃপক্ষ এই স্মারকলিপি গ্রহন করেন।

আরো পড়ুন=>> জীবননগরে কৃষি উপকরণ বিতরণ

স্মারকলিপি দেওয়া শেষে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সমন্বয়ক ও চুয়াডাঙ্গা সরকারী কলেজের শিক্ষার্থী সজিব বলেন, ‘রাষ্ট্রপতির কাছে আমাদের অনুরোধ থাকবে দ্রুত সংসদের অধিবেশন আহ্বান করে এই কোটা বৈষম্য নিরসন করেন। সাধারণ শিক্ষার্থীদের ওপর যে হামলা হচ্ছে তা বন্ধ এবং ২৪ ঘণ্টার মধ্যে মিথ্যা মামলা প্রত্যাহার করেন।’

জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী আসলাম অর্ক বলেন, সরকারি চাকরির সকল গ্রেডে অযৌক্তিক ও বৈষম্যমূলক কোটা বাতিল করে কোটা পদ্ধতি সংস্কার করার একদফা দাবিতে আজকে আমরা স্মারক লিপি প্রদান করা হয়। প্রধানমন্ত্রীর কাছে স্মারক পাঠাতে আমরা জেলা প্রশাসকের কাছে স্মারকলিপি প্রদান করেছি। আমরা চাই প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা জাতীয় সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে আমাদের ছাত্র সমাজের যে যৌক্তিক দাবি সে বিষয়ে আলোচনা করে একটি যৌক্তিক সিদ্ধান্তে উপনীত হোন।

হাজী দানেশ বিজ্ঞান প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী তাহমিদ বলেন, অন্যনা জেলাতে বড় পদযাত্রা নিয়ে আসলেও আমরা সেটা করিনি, আমরা শান্তি চাই, আর এজন্য ৭ সদস্যের একটি টিম নিয়ে এই স্মারকলিপি দিতে এসছি। চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক মহোদয়ের মাধ্যমে রাষ্ট্রপতি মহোদয়ের প্রতি দাবি জানাচ্ছি যে, অতি দ্রুত সংসদে জরুরি অধিবেশন ডেকে আইন প্রণয়নের মাধ্যমে কোটার যৌক্তিক সংস্কার করা হোক। শাহজালাল বিঞ্জান ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী আকাশ বলেন, সাধারণ শিক্ষার্থীদের কথা মাথায় রেখে সঠিকভাবে কোটা সংস্কার ও মামলা প্রত্যাহার করলেই সারা দেশের ছাত্র সমাজ পড়ার টেবিলে ফিরে যাবে বলে জানান তারা।