সারা পৃথিবীতে ছড়িয়ে পড়ুক চুয়াডাঙ্গার নাম

ঢাকায় ডুসাকের নবীণবরণ ও পরিচিত সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা

ঢকা ইউনিভার্সিটি স্টুডেন্টস অ্যাসোসিয়েশন অব চুয়াডাঙ্গা (ডুসাক)-এর আয়োজনে ঢাকার এলিফ্যান্ট রোডে অবস্থিত স্টার কাবাব ও রেস্টুরেন্টের হলরুমে নবীণবরণ ও পরিচিত সভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। শনিবার ( ৬ জুলাই) কেলে ডুসাকের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ইকবাল হৃদয়ের পরিচালনায় ও সভাপতি সাইফুল ইসলামের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত হয়ে বক্তব্য রাখেন বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় শিল্প ও বাণিজ্য বিষয়ক উপকমিটির সদস্য, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান, দেশের কৃতী ব্যবসায়ী ও ডুসাকের পৃষ্ঠপোষক দিলীপ কুমার আগরওয়ালা।

এছাড়া অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তা ছিলেন বিডিচ্যাম ও এনআরবি ওয়ার্ল্ডের প্রেসিডেন্ট, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান ও ডুসাকের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হাজী সাহিদুজ্জামান টরিক।

প্রধান অতিথি হিসেবে বক্তব্য প্রদানকালে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, ‘প্রাচ্যের অক্সফোর্ড ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের একঝাঁক মেধাবী শিক্ষার্থীরা আজ এখানে উপস্থিত আছে। এছাড়া ঢাবির সাবেক শিক্ষার্থীরাও অর্থাৎ আমরাও এখানে উপস্থিত হয়েছি। তোমরা শ্রোতা ও আজ আমরা বক্তা। কিছুদিন পরেও তোমরা আমাদের পজিশনে যাবা, কিংবা আমাদেরকে ছাড়িয়েও তোমরা আরও বড় হবা।

আমরা সবাই চুয়াডাঙ্গার সন্তান। তাই আমাদের সবাইকে ঐক্যের মাধ্যমে স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে হবে। নিজ জেলার উন্নয়ন ও কল্যাণে পিছুপা হওয়া যাবেনা। আমি চাই- সারা পৃথিবীতে চুয়াডাঙ্গার সন্তানরা ছড়িয়ে পড়ুক। সারা পৃথিবী আমার জন্মভূমি, আমার চুয়াডাঙ্গাকে চিনুক। তোমরা সবাই জানো, আজ আমাদের এই প্রোগ্রামে বিশিষ্ট ব্যবসায়ী, আমার বন্ধুবর সাহিদুজ্জামান টরিক উপস্থিত আছে। যার কারণে পৃথিবীর অনেক দেশে চুয়াডাঙ্গার নাম ছড়িয়ে পড়েছে।

উপস্থিত শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে দিলীপ কুমার আগরওয়ালা বলেন, তোমরা যারা এখনো পড়াশোনা করছো। তারা পড়াশোনা শেষ করে সবাই যে চাকরি করবা, সেটার দরকার নেই। জ্ঞান অর্জনের জন্য অবশ্যই পড়তে হবে, তবে চাকরির পিছনে না ছুটে ব্যবসা করো এবং ব্যবসায়ী হও।

আমি দুটো জিনিস মানি- তা হলো আমার ভাবনা-চিন্তা থাকবে বিশাল। কিন্তু আমি যখন কোনো কিছু শুরু করবো, সেটা হবে ছোট আকারে। ধীরে ধীরে যার পরিধি বাড়বে। তোমরা সবাই এক হও নিজের মেধা দিয়ে এগিয়ে যাও। আর চুয়াডাঙ্গার নাম উজ্জ্বল করো।

তিনি আরও বলেন, চুয়াডাঙ্গার উন্নয়নে ও স্মার্ট চুয়াডাঙ্গা গড়তে আমার কোনো কার্পণ্য নেই। তোমরা সবাই ভালো থাকবা- বিশেষ করে মা-বাবার দায়িত্ব ও কর্তব্য পালনে অবহেলা করবা না। কারণ মা-বাবার দোয়া তোমাকে সফল মানুষ হিসেবে গড়ে তুলবে। আর আমাকে আজকের অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আমন্ত্রিত করার জন্য আয়োজকদের প্রতি কৃতজ্ঞতা জানাচ্ছি।

অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনাকালে ডুসাকের সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ইকবাল হৃদয় বলেন, চুয়াডাঙ্গার কৃতী সন্তান ও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অগ্রজ এবং ডুসাকের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক হাজী সাহিদুজ্জামান টরিক ও আমাদের আরেক কৃতী সন্তান, দেশের কৃতী ব্যবসায়ী ডুসাকের অন্যতম পৃষ্ঠপোষক দিলীপ কুমার আগরওয়ালার প্রতি ডুসাক পরিবারের পক্ষ থেকে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করছি।

কারণ এই দুজন সর্বদা ছায়ার মতো আমাদের সাথে থাকেন এবং যেকোনো প্রয়োজনে পাশে থাকেন।’ এবং তিনি ডুসাকের শিক্ষার্থীবান্ধব বিভিন্ন কার্যক্রমও তুলে ধরেন। ডুসাকের সভাপতি সাইফুল ইসলাম সমাপনী বক্তব্যের মাধ্যমে সকলের প্রতি কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।

এছাড়া সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের ফার্মেসি বিভাগের অধ্যাপক ড. রুহুল কুদ্দুস শিপন, এনসিসি ব্যাংকের সিনিয়র এসি. প্রেসিডেন্ট আনিসুর রহমান, পিএসসির পরিচালক আনিসুর রহমান, কাউন্টার টেররিজম ইউনিটের পুলিশ সুপার ও ডুসাকের উপদেষ্টা মির্জা সায়েম মাহমুদ বিপুল, ব্যাংক কর্মকর্তা মাসুদ উর রহমান, ব্যাংক কর্মকর্তা জাহাঙ্গীর আলম, বসুন্ধরা গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান বসুন্ধরা গ্রুপের মানবসম্পদ বিভাগের প্রধান শিবলী হোসাইন আহমেদ, ডুসাকের প্রতিষ্ঠাকালীন সভাপতি মহসিন কবির, এম. আর লজিস্টিকস বিডি লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক ও ডুসাকের উপদেষ্টা এখলাছ উদ্দিন সুজন, কেন্দ্রীয় যুবলীগের সদস্য ও ডুসাকের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর আলম, পরিসংখ্যান কর্মকর্তা ও ডুসাকের উপদেষ্টা জাহাঙ্গীর হোসেন তাজ ও রিয়া টেক্সটাইলের সত্ত্বাধিকারী খন্দকার রিজন আহমেদ, ডুসাকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এম.এ সালাম,ডুসাকের সাবেক সাধারণ সম্পাদক শফিকুল ইসলাম প্রমুখ।

অনুষ্ঠানে প্রধান বক্তার বক্তব্যে সাহিদুজ্জামান টরিক শিক্ষার্থীদের জীবনমুখী নানা দিকনির্দেশনা প্রদান করেন এবং বিশ্ববিদ্যালয় জীবনের স্মৃতি রোমন্থন করেন। তিনি বলেন, আমি সবসময় চুয়াডাঙ্গার মাটি ও মানুষের প্রতি নাড়ীর টান অনুভব করি এবং আমার জায়গা থেকে সবসময় তোমাদের পাশে থাকার সর্বাত্মক চেষ্টা করি।

তিনি আরো বলেন, তোমাদেরকেই ভবিষ্যতে চুয়াডাঙ্গার হাল ধরতে হবে এজন্য নিজেদেরকে সেভাবেই প্রস্তুত করতে হবে। তোমরা সবার সাথে কানেক্টিভিটি রাখবা। বর্তমান পৃথিবীতে কানেক্টিভিটি সবথেকে বড় যোগ্যতা ও ক্ষমতা।

ডুসাকের পক্ষ থেকে সাহিদুজ্জামান টরিককে সম্মাননা স্বারক তুলে দেন ডুসাকের সভাপতি সাইফুল ইসলাম ও সাধারণ সম্পাদক মোস্তফা ইকবাল হৃদয়। এর আগে দিলীপ কুমার আগরওয়ালাকে এ সম্মাননা স্মারক দিয়েছিলো ডুসাক।

এছাড়া এ বছর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়েরর মেধাবী শিক্ষার্থী রেহনুমা বিনতে মালিক প্রিন্টিং এন্ড পাব্লিকেশন বিভাগের লেকচারার হিসেবে যোগদান করেছেন। তাই তাকে ডুসাকের পক্ষ থেকে সম্মাননা স্বারক তুলে দেয়া হয় এবং নবীন শিক্ষার্থীদের ক্রেস্ট প্রদান ও নৈশভোজের মাধ্যমে অনুষ্ঠানের সমাপ্তি ঘোষণা করা হয়।