চুয়াডাঙ্গায় ৬ দিনে কুকুরের কামড়ে শিশুসহ আহত ৫৬

চুয়াডাঙ্গায় বেড়েছে বেওয়ারিশ কুকুরের দৌরাত্ম্য। স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, শিশু, পথচারীসহ সাধারণ মানুষকে পড়তে হচ্ছে বিড়ম্বনায়। রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে কুকুরের ভয়ে আতঙ্ক বিরাজ করছে পথচারীসহ স্থানীয়দের। প্রায় প্রতিদিনই কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসা নিচ্ছেন মানুষ। কুকুরের আক্রমণ থেকে নিস্তার পেতে কুকুর নিধন অথবা জলাতঙ্ক মুক্ত করার দাবি উঠেছে সচেতন মহলে।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সুত্রে জানা গেছে, হাসপাতালে পর্যাপ্ত পরিমান ভ্যাক্সিন রয়েছে। গত ৬ দিনে অর্থাৎ ১ জুন থেকে ৬ জুন বেলা ৩টা পর্যন্ত কুকুরের কামড়ে আহত হয়ে শিশুসহ মোট চিকিৎসা নিয়েছেন ৫৬ জন। বিশেষ করে গতকাল শনিবার দুপুর ৩টা পর্যন্ত ৩২ জন লোক কুকুরের কামড়ে আক্রান্ত হয়ে চিকিৎসা নিয়েছেন।

সরেজমিনে চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে দেখা গেছে, গত শুক্রবার চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের শিক্ষক শাহিন কুকুরে আক্রমণ করে জখম করেছে? তার পরিবার তাকে উদ্ধার করে হাসাপাতালে নিয়ে আসলে তার ক্ষত স্থানে ১৫ থেকে ১৬ টি সেলাই দেওয়া হয়।

চুয়াডাঙ্গা পৌর মেয়র জাহাঙ্গীর আলম মালিক বলেন, আইন অনুযায়ী কুকুর নিধনের অনুমতি নেই। তবে যেহেতু শহরে কুকুরের উৎপাত বেড়েছে। তাই সবাইকে সচেতন থাকতে হবে।