চুয়াডাঙ্গায় দিনদুপুরে ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই

দিন দিন চুয়াডাঙ্গা জেলার বিভিন্ন থানা এলাকার আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি অবনতির দিকে যাচ্ছে। গতকালও (১০ জুলাই) চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরে এক ব্যবসায়ীর কাছ থেকে প্রকাশ্যে নগদ টাকা ছিনতাইয়ের ঘটনা ঘটে বলে অভিযোগ উঠেছে। এতে মুহূর্তে শহরজুড়ে ছিনতাই আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে।

বুধবার (১০ জুলাই) বেলা দুইটার দিকে চুয়াডাঙ্গা জেলা শহরের শেখপাড়ার মারোয়ারি বাড়ির সামনে আহাদ নামের এক ব্যবসায়ীর টাকা ছিনতাই করে পালিয়ে যায় দুজন ছিনতাইকারী। এতে হতবাক হয়ে যায় স্থানীয়রাসহ অন্যান্য ব্যবসায়ীরা।

যদিও পরে চুয়াডাঙ্গা সদর থানা পুলিশ, ডিবি পুলিশের টিম আসে ঘটনাস্থলে, ততক্ষণে অপরাধীরা ঘটনাস্থল ত্যাগ করে। এ ঘটনায় গতকালই থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন ভুক্তভোগী ব্যবসায়ী আহাদ।

ছিনতাইয়ের শিকার আহাদ আলী, চুয়াডাঙ্গার বুড়োপাড়ার মুক্তার আলীর ছেলে ও চুয়াডাঙ্গা শহরের ফেরীঘাট রোড়ের ডিজিটাল স্কেল সামগ্রির ব্যবসায়ী।

প্রত্যক্ষদর্শী সূত্রে জানা যায়, চুয়াডাঙ্গার শহরের শেখপাড়ার মারোয়ারি বাড়ির সামনে দিয়ে ব্যাগে করে দুই লাখ টাকা নিয়ে ফেরিঘাট রোডে অবস্থিত ব্যবসা প্রতিষ্ঠান থেকে বাড়ি ফিরছিলেন আহাদ আলী। এসময় হঠাৎ করে দুজন ছিনতাইকারী দৌড়ে এসে তার টাকার ব্যাগ ছিনতাই করে পালিয়ে যায়। তাদের ধরতে পারেনি কেউ-ই। এরপর পুলিশ এসেও কাউকে পায়নি।

আরো পড়ুন=>> মাদকদ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তরের অভিযানে ফেনসিডিলসহ আটক-১

ভুক্তভোগী এ ব্যবসায়ী এসময় চিৎকার, চেচামেচি করলেও কেউ এগিয়ে আসেনি বলেও জানা যায়। তবে পুলিশ ঘটনাস্থলে আসলে আশপাশের লোকজন ভিড় করে।

ভুক্তোভগী আহাদ আলী জানান, চুয়াডাঙ্গার শহরের শেখপাড়ার মারোয়ারি বাড়ির সামনে দিয়ে বাড়ি ফেরার সময়, আমার পিছন থেকে একজন আমাকে জড়িয়ে ধরে এবং অপর আরেকজন আমার হাতে থাকা টাকার ব্যাগ টাকা ছিনিয়ে নিয়ে দৌড়ে পালিয়ে যায়। এরপর আমাকে জড়িয়ে মাটিতে ফেলে দেওয়া অপর ছিনতাইকারীও আমাকে ছেড়ে দিয়ে দৌড় দিয়ে পালিয়ে যায়। আমিও দৌড়ে তাদের পিছু নিই, কিন্তু কাউকে পায়নি।

তিনি আরও বলেন, আমি ব্যাংক থেকে তোলা এক লক্ষ টাকা ও আমার ব্যবসা প্রতিষ্ঠানের ক্যাশে থাকা এক লক্ষ টাকা অর্থাৎ মোট দুই লাখ টাকা নিয়ে আমি আমার বাড়ির উদ্দেশ্যে যাচ্ছিলাম। আর পথিমধ্যে ছিনতাইয়ের শিকার হলাম। এ বিষয়ে আমি চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় একটি অভিযোগও দিয়েছি।

এবিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) শেখ সেকেন্দার আলী বলেন, ঘটনাটি জানার পরে আমরা ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে দেখেছি এবং আমরা সিসিটিভি ক্যামেরা ফুটেজ দেখেছি। এখনো ছিনতাইকারীদের শনাক্ত ও আটক করা সম্ভব হয়নি। আর ভুক্তভোগী থানায় অভিযোগ দিয়েছেন- আমরা বিষয়টি পুরো তদন্ত করছি। এছাড়া পুলিশের একাধিক টিম জোর অভিযান পরিচালনা করছে।