চুয়াডাঙ্গায় কোটা বিরোধী আন্দোলন স্থগিত করলো শিক্ষার্থীরা

সকল গ্রেডে বৈষম্যমূলক কোটা সংস্কারের দাবিতে বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার উদ্যেগে মানববন্ধনের আয়োজন করা হয়। এসময় সড়ক অবরোধের চিন্তাও ছিলো শিক্ষার্থীদের। তবে তা ভেস্তে গেছে। আন্দোলন স্থগিত করে চলে যায় শিক্ষার্থীরা।

বৃহস্পতিবার (১১ জুলাই) বেলা সাড়ে ১১টায় চুয়াডাঙ্গা প্রেস ক্লাবের সামনে মানববন্ধনের জন্য জেলার বিভিন্ন কলেজের শিক্ষার্থীরা একত্রিত হয়। এসময় মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধের প্রস্তুতির খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদসহ উর্ধতন কর্তারা ফোর্সসহ সেখানে উপস্থিত হন। এসময় জেলা পুলিশের অনুরোধে শিক্ষার্থীরা তাদের আন্দোলন স্থগিত করে চলে যায়।

বৈষম্য বিরোধী ছাত্র আন্দোলন চুয়াডাঙ্গা জেলা শাখার পক্ষে অংশ নেওয়া ও নেতৃত্ব দেওয়া চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের স্নাতকের শিক্ষার্থী রনি বিশ্বাস বলেন, আমরা সারাদেশের ন্যায় চুয়াডাঙ্গাতেও আজকে মানববন্ধনের প্রস্তুতি নিচ্ছিলাম। জেলা পুলিশের এক উধ্বতন কর্মকর্তা উপস্থিত হয়ে বিভিন্ন বিষয়ে আমাদের সাথে কথা বলেন। পরে জেলা পুলিশের অনুরোধে আমরা মানববন্ধন ও সড়ক অবরোধ স্থগিত করি।

আরো পড়ুন=>> আলমডাঙ্গায় দোকানের টিন কেটে মালামাল চুরি আটক-৩

চুয়াডাঙ্গা জেলা পুলিশের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজিম উদ্দীন আল আজাদ বলেন, আদালত একটি নির্দেশনা দিয়েছেন। সে পরিপ্রেক্ষিতে আর কোটা নিয়ে আন্দোলনের কোনও অবকাশ নেই। আমরা আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অনুরোধ করি। তারা আমাদের অনুরোধ রেখে তাতক্ষণিকভাবে আন্দোলন স্থগিত করে।

চুয়াডাঙ্গা পুলিশ সুপার স্যার স্পষ্টত বলে দিয়েছেন, আন্দোলনের নামে যদি জনদুর্ভোগ সৃষ্টি করা হয়, তাহলে বিধি মোতাবেক ব্যবস্থা গ্রহণ করবে জেলা পুলিশ। আমরা সেই মোতাবেক চুয়াডাঙ্গা প্রেসক্লাবের সামনে জমায়েত শিক্ষার্থীদের বোঝাতে সক্ষম হয়েছি, তারা আন্দোলন স্থগিত করেছে।

প্রসঙ্গত, সরকারি চাকরিতে যৌক্তিকভাবে কোটা সংস্কারের দাবিতে সারাদেশে আন্দোলন শুরু করে শিক্ষার্থীরা। সর্বোচ্চ আদালত কোটা বাতিলের প্রজ্ঞাপনে স্থিতাবস্থা দিলেও কর্মসূচি চালিয়ে যাবার ঘোষণা দেয় আন্দোলনকারীরা। সকল গ্রেডে যৌক্তিকভাবে ন্যূনতম কোটা রেখে সংস্কারের এক দফা এক দাবিতে পহেলা জুলাই থেকে আন্দোলন করছে শিক্ষার্থীরা।

এ সপ্তাহে দুইদিন শিক্ষার্থীরা সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ করে দেয়ার মতো কর্মসূচী পালন করেছে, যার নাম দিয়েছে তারা ‘বাংলা ব্লকেড’। এরই ধারাবাহিকতায় পুরো দেশব্যাপী অবরোধ কর্মসূচি পালন করেছে শিক্ষার্থীরা।