দুটি ডায়াগনস্টিক সেন্টারের পার্কিং ব্যবস্থা না থাকায় হাসপাতাল সড়কে যানজট

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতাল সড়কে যানজটের অন্যতম প্রধান কারণ সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টার এবং হেলথ এইড মেডিকেল সেন্টার। অপরিকল্পিত নির্মাণ আর অব্যবস্থাপনার কারণে শহরের হাসপাতাল সড়কের মতো গুরুত্বপূর্ণ রাস্তায় দিনের বেশিরভাগ সময় যানজট লেগেই থাকে। ইজিবাইক, পাখি ভ্যান এবং মোটরসাইকেল গুলো ঘণ্টার পর ঘণ্টা রাস্তার দুই ধারে দাঁড়িয়ে থেকে এ যানজট সৃষ্টি করছে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা শহরের সবথেকে ব্যস্ততম সড়ক গুলোর মধ্যে হাসপাতাল সড়কটি অন্যতম। এই রাস্তাটি শুধুমাত্রই ব্যস্ততম সড়ক নয়, জেলা শহরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ সড়ক এটি। এই সড়কে দু-এক মিনিট কখনো কখনো কারো কাছে মূল্যবান সময় হয়ে দাঁড়ায়। অসুস্থ গুরুত্বপূর্ণ রোগীদের জন্য তো সড়কটির প্রত্যেকটি সেকেন্ড প্রয়োজনীয়।

আরো পড়ুন=>> স্কুলছাত্রীকে সংঘবদ্ধ ধর্ষণ, তিন যুবক আটক

এই সড়কে নির্মাণাধীন সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারটির মূল গেটে তথা ভবনের সামনে কোনো গ্যারেজ নেই। অনেকটাই অপরিকল্পিতভাবে ওই ভবনের পেছনে অনেক পরে একটি গ্যারেজ করেছে কর্তৃপক্ষ। তবে সেখানে সঠিকভাবে ব্যবস্থাপনা নেই। এবং ইজিবাইক চালকদের সতর্ক না করার কারণে সনো সেন্টারের সামনে সড়কে ইজিবাইক, পাখিভ্যান দাঁড়িয়ে থাকে। দিনের বেশিরভাগ সময় ওই স্থানে যানজট লেগেই থাকে।

অপরদিকে হেলথ এইড মেডিকেল সেন্টারের গাড়ি রাখার কোনো গ্যারেজ না থাকার কারণে সড়কের দুই ধারে সারাদিন ইজিবাইক, পাখি ভ্যান ও মোটরসাইকেল দাঁড়িয়ে থেকে যানজট সৃষ্টি করছে।

এছাড়াও হাসপাতালে রোডে একাধিক ডায়াগনস্টিক সেন্টার ও ডক্টরস চেম্বার থাকার কারনে যত্রতত্র যানবাহন দাঁড়িয়ে থেকে যানজট সৃষ্টি করছে। তার থেকেও গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো হাসপাতাল রোডটি খুবই সরু। ৬ চাকা বা ৮ চাকার কোনো যানবাহন এ রোডে ঢুকলেই পুরা রাস্তা যানজটে পড়ে যায়।

সাধারণ ভুক্তভোগী মানুষের দাবি, দ্রুতই এই সমস্যা সমাধানের। সনো সেন্টারের পাশের এক ফার্মেসি মালিক নাম প্রকাশ না করার শর্তে বলেন, ‘আসলে সনো সেন্টারের লোকজন ইজিবাইকগুলোর জন্য কিছু বলে না। রোগী দেখাতে এসে এগুলো রাস্তা থেকে খানিকটা দূরে রাখলে এই সমস্যা হয় না। বা তাদের নিজস্ব গ্যারেজে রাখলেও এই সমস্যা হয় না।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে ভর্তিরত রোগীর ভুক্তভোগী স্বজন ফাহিম হোসেন বলেন, ‘রোগী নিয়ে আসার সময় সনো সেন্টারের সামনে ৫ মিনিট লস হয়েছে। এছাড়াও সকলেরই এই স্থানে সময় নষ্ট হচ্ছে প্রতিনিয়ত। অথচ এই অতিগুরুত্বপূর্ণ সড়কটি সব সময় ক্লিয়ার রাখা প্রয়োজন। যান চলাচল করলে দুর্ভোগ হয় না। দুর্ভোগ হয় দুই পাশে, যদি অল্প অল্প করে জায়গা নিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে।’

হাসপাতালের আরেক রোগীর স্বজন বলেন, ‘হাসপাতাল রোড মানেই হেলথ এইড মেডিকেল সেন্টারের সামনে ভিড়। ওখানে দেরি হবেই। কিছু বলাও যায় না। এটি প্রশাসনের দেখা উচিত। তাছাড়া, ভবনটির ডিজাইন রাস্তার এতো সন্নিকটে কীভাবে, সেটাও ক্ষতিয়ে দেখার প্রয়োজন।

এ বিষয়ে চুয়াডাঙ্গা সনো ডায়াগনস্টিক সেন্টারের ম্যানেজার বদর উদ্দীন শেখের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, ‘আমাদের পিছনে গাড়ি পার্কিংয়ের ব্যবস্থা আছে। ওখানে সিকিউরিটি গার্ডও রাখা হয়। একটি রোগী নামানোর সময় ইজিবাইক অল্প কিছুক্ষণ দাঁড়াতে পারে এছাড়া তেমন কিছু নয়। তবে মোটরসাইকেল আলাদা ১০ টাকা ভাড়া দেওয়ার ভয়ে রাস্তার পাশে গাড়ি রাখে।

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *